বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আসছে বড় আকারের বৈদেশিক সহায়তা। আগামী জুনের মধ্যেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও এআইআইবিসহ একাধিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে প্রায় **সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা** পাচ্ছে দেশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শুধু আইএমএফ থেকেই আসছে **১.৩ বিলিয়ন ডলার**, আর অন্যান্য সংস্থা থেকে আসছে **আরও ২.২ বিলিয়ন ডলার**। এই অর্থ মূলত অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ জোরদার এবং ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যেই ব্যাংকিং খাতে **গভর্নেন্স পুনর্গঠন** শুরু হয়েছে। ১৪টি ব্যাংকের বোর্ডে পরিবর্তন আনা হয়েছে, এবং খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে কড়া নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ব্যাংক সংস্কারে নতুন ধারা যোগ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে—"উল্টোপাল্টা" করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গভর্নর মনসুরের ভাষায়, "*ব্যাংক নয়, আমরা আমানতকারীর স্বার্থ রক্ষা করতে এসেছি। প্রয়োজনে রাষ্ট্র নিজেই হস্তক্ষেপ করবে।*"
ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে—**খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের বেশি হলে তারা লভ্যাংশ দিতে পারবে না**, এবং **নগদ জমা বা বিধিবদ্ধ জমার ঘাটতি থাকলেও** কোনো প্রকার লভ্যাংশ অনুমোদিত হবে না।
এই আর্থিক সহায়তা শুধু তাৎক্ষণিক চাপ কমাবে না, বরং সামনের পথচলায় আত্মবিশ্বাস জোগাবে অর্থনীতিকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের প্রতি আস্থারই বড় প্রমাণ।