মাগুরা ০৮:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জামিয়ার অভিভাবক সম্মেলনে আসাতিযায়ে কেরামের বিশেষ সম্মাননা।  কালুপারা মাদরসারা মাগুরার অভিভাবক সম্মেলন ও কৃতী শিক্ষার্থী সম্মাননা অনুষ্ঠান। আছিয়া ধর্ষণ হত্যা মামলায় রায়: হিটু শেখের ফাঁসি, ৩ জন খালাস—ন্যায়বিচারের গর্বিত মুহূর্ত। একটি মোবাইল ফোনের জন্য একটি জীবন শেষ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাগুরা জেলা শাখার উদ্যোগে তৃণমূল দায়িত্বশীলদের তারবিয়াত অনুষ্ঠিত। বিমানের চাকা খুলে পড়েও, পাইলটের অসাধারণ দক্ষতায় ৭১ যাত্রীসহ ঢাকায় নিরাপদ অবতরণ। নতুন আয়োজনে আজ টিভিতে যেসব রোমাঞ্চকর খেলা দেখবেন (১৬ মে) রাজবাড়ীতে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু ঝিনাইদহে ট্র্যাজেডি: পাওয়ার টিলার-ভ্যান সংঘর্ষে এক নারীর করুণ মৃত্যু। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল, ২৬ মে নতুন করে শুরু হচ্ছে ন্যায়বিচারের লড়াই।

আসছে বিচার মুহূর্ত: শিশু আছিয়ার রক্ত যেন বৃথা না যায়।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / ৪৮৮ বার পড়া হয়েছে
arafatnews24 অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
Spread the love

 

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলা: রায় ঘোষণার নতুন তারিখ ১৭ মে
মাগুরার বহুল আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৭ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। এর আগে গত ১২ মে থেকে যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছিল, যা প্রথম দিনেই শেষ না হওয়ায় পরদিন আবারো তা উপস্থাপন করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মকুল জানান, মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাতটি জব্দ তালিকায় ১৬ জন সাক্ষী থাকলেও তাদের মধ্যে ১২ জন সরাসরি সাক্ষ্য দিয়ে তালিকাগুলো আদালতে সত্যায়ন করেছেন। এছাড়া তিনটি মেডিকেল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী পাঁচজন চিকিৎসকও আদালতে তাদের সাক্ষ্য ও স্বাক্ষর নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, সব সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে আসামি হিটু শেখের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(২) ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণের শিকার হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এই নির্মম ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। এমনকি স্থানীয় আইনজীবীরাও অভিযুক্তদের পক্ষে কোনো আইনি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন।

মামলার মূল অভিযুক্ত হিটু শেখ ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে তদন্তে আরও তিনজনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ ১৩ এপ্রিল চার্জশিট জমা দেয়।

Visited 1 times, 1 visit(s) today

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আসছে বিচার মুহূর্ত: শিশু আছিয়ার রক্ত যেন বৃথা না যায়।

আপডেট সময় : ০১:০১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
Spread the love

 

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলা: রায় ঘোষণার নতুন তারিখ ১৭ মে
মাগুরার বহুল আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৭ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বেলা ১১টার দিকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। এর আগে গত ১২ মে থেকে যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছিল, যা প্রথম দিনেই শেষ না হওয়ায় পরদিন আবারো তা উপস্থাপন করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মকুল জানান, মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাতটি জব্দ তালিকায় ১৬ জন সাক্ষী থাকলেও তাদের মধ্যে ১২ জন সরাসরি সাক্ষ্য দিয়ে তালিকাগুলো আদালতে সত্যায়ন করেছেন। এছাড়া তিনটি মেডিকেল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী পাঁচজন চিকিৎসকও আদালতে তাদের সাক্ষ্য ও স্বাক্ষর নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, সব সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে আসামি হিটু শেখের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(২) ধারায় অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আট বছরের শিশু আছিয়া ধর্ষণের শিকার হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১৩ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এই নির্মম ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীসহ সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। এমনকি স্থানীয় আইনজীবীরাও অভিযুক্তদের পক্ষে কোনো আইনি সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন।

মামলার মূল অভিযুক্ত হিটু শেখ ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তবে তদন্তে আরও তিনজনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ ১৩ এপ্রিল চার্জশিট জমা দেয়।

Visited 1 times, 1 visit(s) today