মাগুরা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ইসলামের বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমান নরনারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব। সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি: প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় সরকার।  বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের নেতৃত্ব—জাপানে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলতপূর্ণ আমল ও করণীয় বুধবার সকালে মুক্তি পাচ্ছেন এটিএম আজহারুল ইসলাম: শিশির মনির।    দায়িত্বপালনের মাঝপথে সরে না যেতে প্রধান উপদেষ্টাকে রাজনৈতিক দলগুলোর একতাবদ্ধ আহ্বান। জামিয়ার অভিভাবক সম্মেলনে আসাতিযায়ে কেরামের বিশেষ সম্মাননা।  কালুপারা মাদরসারা মাগুরার অভিভাবক সম্মেলন ও কৃতী শিক্ষার্থী সম্মাননা অনুষ্ঠান। আছিয়া ধর্ষণ হত্যা মামলায় রায়: হিটু শেখের ফাঁসি, ৩ জন খালাস—ন্যায়বিচারের গর্বিত মুহূর্ত।

ইসলামের বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমান নরনারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব।

মুফতী মাসরুর হুসাইন ফরাজী
  • আপডেট সময় : ১০:২৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • / ৪৮০ বার পড়া হয়েছে
arafatnews24 অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
Spread the love
  1. ইসলামের বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমান নরনারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব।নিসাব পরিমান সম্পদের মালিক হলে, অবশ্যই কোরবানি দিতে হবে। কোরবানি হবে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে, অন্য কোনো উদ্দেশ্য যেন মুখ্য না হয় সে ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে যদি কোরবানি করা হয়, তাহলে তা আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না।

মনে রাখতে হবে, কোরবানি কোনো লোক দেখানো বিষয় না। নিজের সম্পদ প্রদর্শন ও বিত্তের মহড়া দেওয়ার জন্য কোরবানি দিলে কোরবানি আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না। কোরবানি করার আগে তাই মাথায় রাখতে হবে কোন শর্তগুলো মাথায় রাখলে কোরবানি খোদার দরবারে কবুল হবে।

কোরবানির অন্যতম প্রধান শর্ত হলো বিশুদ্ধ নিয়ত। নিয়ত হলো- কাজের আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ, যা কোরবানির পূর্ণতার জন্য অপরিহার্য। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এগুলোর (কোরবানির পশুর) গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না। কিন্তু পৌঁছে তাঁর নিকট তোমাদের মনের তাকওয়া।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৩৭)

কোরবানি করতে হবে হালাল সম্পদ থেকে। হারাম মিশ্রিত সম্পদের বিনিময়ে ক্রয়কৃত পশুর কোরবানি আল্লাহর নিকট কবুল হবে না।

হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা পবিত্র, তিনি কেবল পবিত্র জিনিসই কবুল করেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৩৯৩)

সেইসঙ্গে কোরবানির অংশীদার নির্বাচন করার সময় অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। যদি কারো ব্যাপারে নিশ্চিত জানা যায় যে, সে হারাম সম্পদ থেকে কোরবানি করছে, তাহলে এমন ব্যক্তির সঙ্গে এক পশুতে কোরবানি করা যাবে না। শরিয়তের দৃষ্টিতে এমন লোকের কোরবানি এবং তার সঙ্গে অন্যান্য শরিকদের কোরবানিও কবুল হবে না।

যে কোনো পশু দিয়ে কোরবানি করলেই তা গ্রহণযোগ্য হবে, তা না। কোরবানির পশু হতে হবে গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কুরবানি নির্ধারণ করেছি, যেন তারা আল্লাহর দেওয়া চতুষ্পদ জন্তু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে’ (সুরা হজ, আয়াত: ৩৪)

চতুষ্পদ জন্তুর অন্তর্ভুক্ত হলো উট, গরু, মহিষ, বকরি, ভেড়া ও দুম্বা। এগুলো ব্যতীত অন্য কোনো প্রকার পশু দ্বারা কুরবানি বৈধ হবে না। (কাজিখান: ৩/৩৪৮)

নির্ধারিত পশুর পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোরবানি করা আবশ্যক। কোরবানির সময় শুরু হয় ঈদুল আজহার নামাজের পর থেকে এবং তা অবশিষ্ট থাকে ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। (হিন্দিয়া: ৫/২৯৫) এর আগে বা পরে কুরবানির পশু জবাই করলে তা দ্বারা কুরবানি আদায় হবে না।

কুরবানির পশু অবশ্যই ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জবাই করতে হবে। জবাইকারীর মুসলমান হওয়া এবং আল্লাহর নামে জবাই করা আবশ্যক।

এছাড়া ব্যবহৃত ছুরি বা যন্ত্রপাতি ধারালো হতে হবে, যাতে পশুর কষ্ট কম হয়। কুরবানির পশু নিজ হাতে জবাই করা উত্তম। তবে অন্যকে দিয়েও জবাই করাতে পারবে। এক্ষেত্রে কুরবানিদাতা পুরুষ হলে জবাইয়ের সময় সেখানে উপস্থিত থাকা উত্তম। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২২৬৫৭)

Visited 2 times, 2 visit(s) today

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ইসলামের বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমান নরনারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব।

আপডেট সময় : ১০:২৭:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
Spread the love
  1. ইসলামের বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমান নরনারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব।নিসাব পরিমান সম্পদের মালিক হলে, অবশ্যই কোরবানি দিতে হবে। কোরবানি হবে শুধুমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে, অন্য কোনো উদ্দেশ্য যেন মুখ্য না হয় সে ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে যদি কোরবানি করা হয়, তাহলে তা আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না।

মনে রাখতে হবে, কোরবানি কোনো লোক দেখানো বিষয় না। নিজের সম্পদ প্রদর্শন ও বিত্তের মহড়া দেওয়ার জন্য কোরবানি দিলে কোরবানি আল্লাহর কাছে গৃহীত হবে না। কোরবানি করার আগে তাই মাথায় রাখতে হবে কোন শর্তগুলো মাথায় রাখলে কোরবানি খোদার দরবারে কবুল হবে।

কোরবানির অন্যতম প্রধান শর্ত হলো বিশুদ্ধ নিয়ত। নিয়ত হলো- কাজের আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ, যা কোরবানির পূর্ণতার জন্য অপরিহার্য। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এগুলোর (কোরবানির পশুর) গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না। কিন্তু পৌঁছে তাঁর নিকট তোমাদের মনের তাকওয়া।’ (সুরা হজ, আয়াত: ৩৭)

কোরবানি করতে হবে হালাল সম্পদ থেকে। হারাম মিশ্রিত সম্পদের বিনিময়ে ক্রয়কৃত পশুর কোরবানি আল্লাহর নিকট কবুল হবে না।

হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা পবিত্র, তিনি কেবল পবিত্র জিনিসই কবুল করেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৩৯৩)

সেইসঙ্গে কোরবানির অংশীদার নির্বাচন করার সময় অবশ্যই যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। যদি কারো ব্যাপারে নিশ্চিত জানা যায় যে, সে হারাম সম্পদ থেকে কোরবানি করছে, তাহলে এমন ব্যক্তির সঙ্গে এক পশুতে কোরবানি করা যাবে না। শরিয়তের দৃষ্টিতে এমন লোকের কোরবানি এবং তার সঙ্গে অন্যান্য শরিকদের কোরবানিও কবুল হবে না।

যে কোনো পশু দিয়ে কোরবানি করলেই তা গ্রহণযোগ্য হবে, তা না। কোরবানির পশু হতে হবে গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কুরবানি নির্ধারণ করেছি, যেন তারা আল্লাহর দেওয়া চতুষ্পদ জন্তু জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে’ (সুরা হজ, আয়াত: ৩৪)

চতুষ্পদ জন্তুর অন্তর্ভুক্ত হলো উট, গরু, মহিষ, বকরি, ভেড়া ও দুম্বা। এগুলো ব্যতীত অন্য কোনো প্রকার পশু দ্বারা কুরবানি বৈধ হবে না। (কাজিখান: ৩/৩৪৮)

নির্ধারিত পশুর পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোরবানি করা আবশ্যক। কোরবানির সময় শুরু হয় ঈদুল আজহার নামাজের পর থেকে এবং তা অবশিষ্ট থাকে ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত। (হিন্দিয়া: ৫/২৯৫) এর আগে বা পরে কুরবানির পশু জবাই করলে তা দ্বারা কুরবানি আদায় হবে না।

কুরবানির পশু অবশ্যই ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জবাই করতে হবে। জবাইকারীর মুসলমান হওয়া এবং আল্লাহর নামে জবাই করা আবশ্যক।

এছাড়া ব্যবহৃত ছুরি বা যন্ত্রপাতি ধারালো হতে হবে, যাতে পশুর কষ্ট কম হয়। কুরবানির পশু নিজ হাতে জবাই করা উত্তম। তবে অন্যকে দিয়েও জবাই করাতে পারবে। এক্ষেত্রে কুরবানিদাতা পুরুষ হলে জবাইয়ের সময় সেখানে উপস্থিত থাকা উত্তম। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২২৬৫৭)

Visited 2 times, 2 visit(s) today