**ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল মনোয়ারা খাতুনের: ব্যথিত বারবাজার**
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকায় ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনা। জীবনের চিরচেনা ছন্দ ছিন্ন করে, চিরবিদায় নিলেন মনোয়ারা খাতুন (৫০) নামের এক পরিশ্রমী গৃহিণী। তার এই অকালপ্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুর ২টার দিকে বারবাজার-হাকিমপুর সড়কের গলাকাটা মসজিদের সামনে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। হাসিলবাগ গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ারা খাতুন তখন একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে বারবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা বিচুলী বোঝাই একটি পাওয়ার টিলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে, মুহূর্তেই থেমে যায় তার জীবনযাত্রা।
সেই ভ্যানে থাকা চালক সুমন হোসেন মারাত্মক আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, টিলারটির গতি ছিল অত্যন্ত দ্রুত এবং অসতর্কভাবে চালানো হচ্ছিল। সংঘর্ষের পর মনোয়ারা খাতুন এবং ভ্যানচালক রাস্তায় ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মারা যান মনোয়ারা।
খবর পেয়ে বারবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাকারিয়া মাসুদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন। তিনি জানান, টিলারটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়ে গেছে।
এ দুর্ঘটনা শুধুই একটি সংখ্যা নয়—এটি একটি পরিবারের ভেঙে পড়া স্বপ্ন, একটি গ্রামের হারানো এক আশ্রয়।
আমাদের ভাবতে হবে—আর কত প্রাণ ঝরলে সড়ক হবে নিরাপদ? প্রতিটি চালকের সচেতনতা, প্রতিটি যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই মর্মান্তিক দৃশ্যগুলো থামবে না।
মনোয়ারা খাতুনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার পরিবারের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা। এখনই সময়, আমরা সকলে মিলে গড়ে তুলি নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ ভবিষ্যৎ।