নতুন রাজনীতির পথে? জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরতের আপিলের রায় ১ জুন।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর রাজনৈতিক দল হিসেবে ফিরে আসার আশায় আপিল বিভাগে সর্বশেষ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামী **১ জুন** এই দলের নিবন্ধন ও বহুল আলোচিত **দাঁড়িপাল্লা প্রতীক** ফেরতের আবেদন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিতে যাচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
১৪ মে, বুধবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এ রায়ের দিন নির্ধারণ করে। জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের হয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট তৌহিদুল ইসলাম।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আইনজীবী অনুপস্থিত থাকার কারণে আপিলটি খারিজ হয়ে গেলেও, নতুন করে রিস্টোর (পুনরুজ্জীবন) আবেদনের মাধ্যমে আবারো বিচারিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর শুরু হয় নতুনভাবে শুনানি, যার পরিণতি হতে যাচ্ছে ১ জুনের রায়ে।
প্রসঙ্গত, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের ইতিহাস দীর্ঘ ও বিতর্কিত। ২০০৮ সালে সাময়িকভাবে নিবন্ধন পেলেও, ২০১৩ সালে হাইকোর্ট সেটিকে আইন বহির্ভূত বলে ঘোষণা করে। এরপর শুরু হয় আইনি লড়াই, যা দীর্ঘ এক দশক পর আবারো গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিতে যাচ্ছে।
এদিকে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও এসেছে বড় পরিবর্তন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, জামায়াতের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নতুন সরকার। এই পরিবর্তনের মধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয় দলটি।
এই রায় শুধু জামায়াত নয়, বাংলাদেশের রাজনীতিতেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে। নিবন্ধন ফিরে পেলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে নতুন বাস্তবতায় ফেরা এক পুরনো রাজনৈতিক শক্তির প্রত্যাবর্তন ঘটবে।
এখন নজর ১ জুনের রায়ের দিকে—নতুন দিগন্তের সূচনা, নাকি পুরনো পথের পুনরাবৃত্তি? সময়ই বলে দেবে উত্তর।