মাগুরা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আছিয়া ধর্ষণ হত্যা মামলায় রায়: হিটু শেখের ফাঁসি, ৩ জন খালাস—ন্যায়বিচারের গর্বিত মুহূর্ত। একটি মোবাইল ফোনের জন্য একটি জীবন শেষ। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মাগুরা জেলা শাখার উদ্যোগে তৃণমূল দায়িত্বশীলদের তারবিয়াত অনুষ্ঠিত। বিমানের চাকা খুলে পড়েও, পাইলটের অসাধারণ দক্ষতায় ৭১ যাত্রীসহ ঢাকায় নিরাপদ অবতরণ। নতুন আয়োজনে আজ টিভিতে যেসব রোমাঞ্চকর খেলা দেখবেন (১৬ মে) রাজবাড়ীতে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু ঝিনাইদহে ট্র্যাজেডি: পাওয়ার টিলার-ভ্যান সংঘর্ষে এক নারীর করুণ মৃত্যু। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: সব আসামির খালাসের বিরুদ্ধে আপিল, ২৬ মে নতুন করে শুরু হচ্ছে ন্যায়বিচারের লড়াই। নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য: হৃদয়বিদারক বিদায়। ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি—নতুন উচ্চতায় বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট।

ঝিনাইদহে ট্র্যাজেডি: পাওয়ার টিলার-ভ্যান সংঘর্ষে এক নারীর করুণ মৃত্যু।

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৩:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / ৪৮৩ বার পড়া হয়েছে
arafatnews24 অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
Spread the love

**ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল মনোয়ারা খাতুনের: ব্যথিত বারবাজার**

 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকায় ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনা। জীবনের চিরচেনা ছন্দ ছিন্ন করে, চিরবিদায় নিলেন মনোয়ারা খাতুন (৫০) নামের এক পরিশ্রমী গৃহিণী। তার এই অকালপ্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।

 

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুর ২টার দিকে বারবাজার-হাকিমপুর সড়কের গলাকাটা মসজিদের সামনে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। হাসিলবাগ গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ারা খাতুন তখন একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে বারবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা বিচুলী বোঝাই একটি পাওয়ার টিলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে, মুহূর্তেই থেমে যায় তার জীবনযাত্রা।

 

সেই ভ্যানে থাকা চালক সুমন হোসেন মারাত্মক আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, টিলারটির গতি ছিল অত্যন্ত দ্রুত এবং অসতর্কভাবে চালানো হচ্ছিল। সংঘর্ষের পর মনোয়ারা খাতুন এবং ভ্যানচালক রাস্তায় ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মারা যান মনোয়ারা।

 

খবর পেয়ে বারবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাকারিয়া মাসুদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন। তিনি জানান, টিলারটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়ে গেছে।

 

এ দুর্ঘটনা শুধুই একটি সংখ্যা নয়—এটি একটি পরিবারের ভেঙে পড়া স্বপ্ন, একটি গ্রামের হারানো এক আশ্রয়।

 

আমাদের ভাবতে হবে—আর কত প্রাণ ঝরলে সড়ক হবে নিরাপদ? প্রতিটি চালকের সচেতনতা, প্রতিটি যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই মর্মান্তিক দৃশ্যগুলো থামবে না।

 

মনোয়ারা খাতুনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার পরিবারের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা। এখনই সময়, আমরা সকলে মিলে গড়ে তুলি নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ ভবিষ্যৎ।

 

Visited 9 times, 1 visit(s) today

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

ঝিনাইদহে ট্র্যাজেডি: পাওয়ার টিলার-ভ্যান সংঘর্ষে এক নারীর করুণ মৃত্যু।

আপডেট সময় : ০৪:৪৩:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
Spread the love

**ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল মনোয়ারা খাতুনের: ব্যথিত বারবাজার**

 

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার এলাকায় ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক সড়ক দুর্ঘটনা। জীবনের চিরচেনা ছন্দ ছিন্ন করে, চিরবিদায় নিলেন মনোয়ারা খাতুন (৫০) নামের এক পরিশ্রমী গৃহিণী। তার এই অকালপ্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।

 

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুর ২টার দিকে বারবাজার-হাকিমপুর সড়কের গলাকাটা মসজিদের সামনে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। হাসিলবাগ গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ারা খাতুন তখন একটি ব্যাটারিচালিত ভ্যানে করে বারবাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা বিচুলী বোঝাই একটি পাওয়ার টিলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে, মুহূর্তেই থেমে যায় তার জীবনযাত্রা।

 

সেই ভ্যানে থাকা চালক সুমন হোসেন মারাত্মক আহত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, টিলারটির গতি ছিল অত্যন্ত দ্রুত এবং অসতর্কভাবে চালানো হচ্ছিল। সংঘর্ষের পর মনোয়ারা খাতুন এবং ভ্যানচালক রাস্তায় ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মারা যান মনোয়ারা।

 

খবর পেয়ে বারবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাকারিয়া মাসুদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন। তিনি জানান, টিলারটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়ে গেছে।

 

এ দুর্ঘটনা শুধুই একটি সংখ্যা নয়—এটি একটি পরিবারের ভেঙে পড়া স্বপ্ন, একটি গ্রামের হারানো এক আশ্রয়।

 

আমাদের ভাবতে হবে—আর কত প্রাণ ঝরলে সড়ক হবে নিরাপদ? প্রতিটি চালকের সচেতনতা, প্রতিটি যাত্রীর নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই মর্মান্তিক দৃশ্যগুলো থামবে না।

 

মনোয়ারা খাতুনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার পরিবারের প্রতি রইল গভীর সমবেদনা। এখনই সময়, আমরা সকলে মিলে গড়ে তুলি নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ ভবিষ্যৎ।

 

Visited 9 times, 1 visit(s) today