মাগুরা ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ইসলামের বিধান অনুযায়ী, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমান নরনারীর ওপর কোরবানি ওয়াজিব। সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবি: প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় সরকার।  বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের নেতৃত্ব—জাপানে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলতপূর্ণ আমল ও করণীয় বুধবার সকালে মুক্তি পাচ্ছেন এটিএম আজহারুল ইসলাম: শিশির মনির।    দায়িত্বপালনের মাঝপথে সরে না যেতে প্রধান উপদেষ্টাকে রাজনৈতিক দলগুলোর একতাবদ্ধ আহ্বান। জামিয়ার অভিভাবক সম্মেলনে আসাতিযায়ে কেরামের বিশেষ সম্মাননা।  কালুপারা মাদরসারা মাগুরার অভিভাবক সম্মেলন ও কৃতী শিক্ষার্থী সম্মাননা অনুষ্ঠান। আছিয়া ধর্ষণ হত্যা মামলায় রায়: হিটু শেখের ফাঁসি, ৩ জন খালাস—ন্যায়বিচারের গর্বিত মুহূর্ত।

জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলতপূর্ণ আমল ও করণীয়

মুফতি মাসরুর হুসাইন ফরাজী
  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / ৫৮৯ বার পড়া হয়েছে
arafatnews24 অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
Spread the love

‎১. অধিক পরিমাণে জিকির ও তাকবীর পাঠ:

আল্লাহ বলেন:

‎> وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ

‎“আর নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনে তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করবে।” (সূরা আল-হাজ্জ: ২৮)

‎হাদীস: রাসূল (সা.) বলেন:

“জিলহজ্বের প্রথম দশ দিনের চেয়ে আল্লাহর কাছে কোনো দিনেই নেক আমল এত প্রিয় নয়।”

‎(সহীহ বুখারী: ৯৬৯)

‎তাকবীরের শব্দ:

‎اللّٰهُ أَكْبَرُ، اللّٰهُ أَكْبَرُ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ، وَاللّٰهُ أَكْبَرُ، اللّٰهُ أَكْبَرُ وَلِلّٰهِ الْحَمْدُ।

‎২. রোযা রাখা (বিশেষত ৯ জিলহজ – আরাফাহ দিবস):

‎ “আরাফার রোযা আগের ও পরের এক বছরের গুনাহ মোচনের কারণ হয়।”

‎(সহীহ মুসলিম: ১১৬২)

‎৩. কুরআন তিলাওয়াত, সালাত ও নফল ইবাদত বৃদ্ধি করে।

৪. দান-সদকা ও সৎকাজে অগ্রগামী হওয়া।

‎৫. কুরবানি করা (১০ জিলহজ):

‎ “কুরবানির দিনে কোনো কাজই আল্লাহর কাছে পশু জবাইয়ের চেয়ে প্রিয় নয়।”

‎(তিরমিযী: ১৪৯৩)

‎৬. হজ আদায় করা (যাদের সামর্থ্য আছে)।

‎৭. তওবা ও ইস্তিগফার করা। চুল ও নখ কাটার বিধান (যারা কুরবানি করবেন তাদের জন্য)

রাসূল (সা.) বলেন:> “যখন তোমরা চাঁদ দেখো (জিলহজ্ব মাসের), আর তোমাদের কেউ যদি কুরবানি দিতে চায়, তবে যেন সে চুল ও নখ না কাটে কুরবানি দেওয়া পর্যন্ত।”

‎(সহীহ মুসলিম: ১৯৭৭)

‎মহিলা ও শিশুর ক্ষেত্রে বিধান:

‎যদি তারা নিজে কুরবানি না করে, তাহলে তারা চুল ও নখ কাটতে পারবে।

‎তবে যদি নারীর নামে বা কর্তব্য হিসেবে কুরবানি দেওয়া হয়, তাহলে তার ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য।

‎বিধান সংক্ষেপে:

প্রযোজ্য: যিনি নিজে কুরবানি করবেন অথবা যার নামে কুরবানি হবে।

‎সময়সীমা: ১ জিলহজ চাঁদ দেখার পর থেকে কুরবানি দেওয়া পর্যন্ত।

‎লঙ্ঘন করলে: কুরবানি বাতিল হবে না, তবে গুনাহ হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে এড়ানো উচিত।

‎‎উপসংহার:

‎জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন ইবাদত, কুরআন তিলাওয়াত, রোযা, তাকবীর ও দান-সদকার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সেরা সময়। আর কুরবানির ইচ্ছা থাকলে চুল ও নখ না কাটা এক বিশেষ ত্যাগ, যা এই ইবাদতকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।

  1. লেখক: মুফতী মাসরুর হুসাইন ফরাজী প্রতিষ্ঠাতা আল মাদ্রাসাতুল কাসেমিয়া মোহতামিম পারনান্দুয়ালী গোরস্থান হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাগুরা।
Visited 44 times, 1 visit(s) today

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলতপূর্ণ আমল ও করণীয়

আপডেট সময় : ০৯:০৪:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
Spread the love

‎১. অধিক পরিমাণে জিকির ও তাকবীর পাঠ:

আল্লাহ বলেন:

‎> وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ

‎“আর নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনে তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করবে।” (সূরা আল-হাজ্জ: ২৮)

‎হাদীস: রাসূল (সা.) বলেন:

“জিলহজ্বের প্রথম দশ দিনের চেয়ে আল্লাহর কাছে কোনো দিনেই নেক আমল এত প্রিয় নয়।”

‎(সহীহ বুখারী: ৯৬৯)

‎তাকবীরের শব্দ:

‎اللّٰهُ أَكْبَرُ، اللّٰهُ أَكْبَرُ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ، وَاللّٰهُ أَكْبَرُ، اللّٰهُ أَكْبَرُ وَلِلّٰهِ الْحَمْدُ।

‎২. রোযা রাখা (বিশেষত ৯ জিলহজ – আরাফাহ দিবস):

‎ “আরাফার রোযা আগের ও পরের এক বছরের গুনাহ মোচনের কারণ হয়।”

‎(সহীহ মুসলিম: ১১৬২)

‎৩. কুরআন তিলাওয়াত, সালাত ও নফল ইবাদত বৃদ্ধি করে।

৪. দান-সদকা ও সৎকাজে অগ্রগামী হওয়া।

‎৫. কুরবানি করা (১০ জিলহজ):

‎ “কুরবানির দিনে কোনো কাজই আল্লাহর কাছে পশু জবাইয়ের চেয়ে প্রিয় নয়।”

‎(তিরমিযী: ১৪৯৩)

‎৬. হজ আদায় করা (যাদের সামর্থ্য আছে)।

‎৭. তওবা ও ইস্তিগফার করা। চুল ও নখ কাটার বিধান (যারা কুরবানি করবেন তাদের জন্য)

রাসূল (সা.) বলেন:> “যখন তোমরা চাঁদ দেখো (জিলহজ্ব মাসের), আর তোমাদের কেউ যদি কুরবানি দিতে চায়, তবে যেন সে চুল ও নখ না কাটে কুরবানি দেওয়া পর্যন্ত।”

‎(সহীহ মুসলিম: ১৯৭৭)

‎মহিলা ও শিশুর ক্ষেত্রে বিধান:

‎যদি তারা নিজে কুরবানি না করে, তাহলে তারা চুল ও নখ কাটতে পারবে।

‎তবে যদি নারীর নামে বা কর্তব্য হিসেবে কুরবানি দেওয়া হয়, তাহলে তার ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য।

‎বিধান সংক্ষেপে:

প্রযোজ্য: যিনি নিজে কুরবানি করবেন অথবা যার নামে কুরবানি হবে।

‎সময়সীমা: ১ জিলহজ চাঁদ দেখার পর থেকে কুরবানি দেওয়া পর্যন্ত।

‎লঙ্ঘন করলে: কুরবানি বাতিল হবে না, তবে গুনাহ হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে এড়ানো উচিত।

‎‎উপসংহার:

‎জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন ইবাদত, কুরআন তিলাওয়াত, রোযা, তাকবীর ও দান-সদকার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সেরা সময়। আর কুরবানির ইচ্ছা থাকলে চুল ও নখ না কাটা এক বিশেষ ত্যাগ, যা এই ইবাদতকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।

  1. লেখক: মুফতী মাসরুর হুসাইন ফরাজী প্রতিষ্ঠাতা আল মাদ্রাসাতুল কাসেমিয়া মোহতামিম পারনান্দুয়ালী গোরস্থান হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাগুরা।
Visited 44 times, 1 visit(s) today