জিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিনের ফজিলতপূর্ণ আমল ও করণীয়

- আপডেট সময় : ০৯:০৪:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
- / ৫৮৭ বার পড়া হয়েছে

১. অধিক পরিমাণে জিকির ও তাকবীর পাঠ:
আল্লাহ বলেন:
> وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ
“আর নির্দিষ্ট কয়েকটি দিনে তারা আল্লাহর নাম স্মরণ করবে।” (সূরা আল-হাজ্জ: ২৮)
হাদীস: রাসূল (সা.) বলেন:
“জিলহজ্বের প্রথম দশ দিনের চেয়ে আল্লাহর কাছে কোনো দিনেই নেক আমল এত প্রিয় নয়।”
(সহীহ বুখারী: ৯৬৯)
তাকবীরের শব্দ:
اللّٰهُ أَكْبَرُ، اللّٰهُ أَكْبَرُ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ، وَاللّٰهُ أَكْبَرُ، اللّٰهُ أَكْبَرُ وَلِلّٰهِ الْحَمْدُ।
২. রোযা রাখা (বিশেষত ৯ জিলহজ – আরাফাহ দিবস):
“আরাফার রোযা আগের ও পরের এক বছরের গুনাহ মোচনের কারণ হয়।”
(সহীহ মুসলিম: ১১৬২)
৩. কুরআন তিলাওয়াত, সালাত ও নফল ইবাদত বৃদ্ধি করে।
৪. দান-সদকা ও সৎকাজে অগ্রগামী হওয়া।
৫. কুরবানি করা (১০ জিলহজ):
“কুরবানির দিনে কোনো কাজই আল্লাহর কাছে পশু জবাইয়ের চেয়ে প্রিয় নয়।”
(তিরমিযী: ১৪৯৩)
৬. হজ আদায় করা (যাদের সামর্থ্য আছে)।
৭. তওবা ও ইস্তিগফার করা। চুল ও নখ কাটার বিধান (যারা কুরবানি করবেন তাদের জন্য)
রাসূল (সা.) বলেন:> “যখন তোমরা চাঁদ দেখো (জিলহজ্ব মাসের), আর তোমাদের কেউ যদি কুরবানি দিতে চায়, তবে যেন সে চুল ও নখ না কাটে কুরবানি দেওয়া পর্যন্ত।”
(সহীহ মুসলিম: ১৯৭৭)
মহিলা ও শিশুর ক্ষেত্রে বিধান:
যদি তারা নিজে কুরবানি না করে, তাহলে তারা চুল ও নখ কাটতে পারবে।
তবে যদি নারীর নামে বা কর্তব্য হিসেবে কুরবানি দেওয়া হয়, তাহলে তার ক্ষেত্রেও একই বিধান প্রযোজ্য।
বিধান সংক্ষেপে:
প্রযোজ্য: যিনি নিজে কুরবানি করবেন অথবা যার নামে কুরবানি হবে।
সময়সীমা: ১ জিলহজ চাঁদ দেখার পর থেকে কুরবানি দেওয়া পর্যন্ত।
লঙ্ঘন করলে: কুরবানি বাতিল হবে না, তবে গুনাহ হবে। ইচ্ছাকৃতভাবে এড়ানো উচিত।
উপসংহার:
জিলহজ্ব মাসের প্রথম দশ দিন ইবাদত, কুরআন তিলাওয়াত, রোযা, তাকবীর ও দান-সদকার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সেরা সময়। আর কুরবানির ইচ্ছা থাকলে চুল ও নখ না কাটা এক বিশেষ ত্যাগ, যা এই ইবাদতকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।
- লেখক: মুফতী মাসরুর হুসাইন ফরাজী প্রতিষ্ঠাতা আল মাদ্রাসাতুল কাসেমিয়া মোহতামিম পারনান্দুয়ালী গোরস্থান হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাগুরা।